ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। প্রাথমিকভাবে আটটি বাস দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হবে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, সোমবার থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটা ডিপো থেকে ৮টি বাস চলবে। তবে এগুলো একটি ডিপো থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
বিআরটিসি প্রথম কোনো লোকালবাস সার্ভিস শুরু করবে যা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে যাবে। এর মাধ্যমে যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নেই তারাও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচলে বাসগুলোকে টোল দিতে হবে। তবে বিআরটিসি বাসের যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে না। বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আপাতত ভাড়ায় টোল যোগ হচ্ছে না। পরে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত টোল যোগ করে যে ভাড়া হবে, সে ভাড়ায় গাড়ি চালানো হবে।
ভাড়া বিষয়ে তিনি বলেন, খেজুরবাগান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের ভাড়া ৩৫ টাকা। আর জসীমউদ্দীন পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা। কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া দাঁড়াচ্ছে ২ টাকা ৪৫ পয়সা। ই-টিকিটিং ব্যবস্থা থাকায় বেশি ভাড়া নেয়ার সুযোগ থাকবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
কোথা থেকে ওঠা-নামা- বিআরটিসির চেয়ারম্যান জানান, আপাতত যাত্রীরা এক্সপ্রেসওয়ের দুই প্রান্ত থেকে ওঠানামা করতে পারবেন। উত্তরার জসীমউদ্দীন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ও কাওলা থেকে দক্ষিণমুখী যাত্রীরা বাসে উঠতে পারবেন। আর ফার্মগেটে যাত্রী নামিয়ে বাসগুলো বিমানবন্দর অভিমুখী যাত্রী নেবে।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংলগ্ন সংসদ ভবনের খেজুরবাগান এলাকার বঙ্গবন্ধু গোলচত্বর থেকে উত্তরামুখী যাত্রীরা বাসে উঠতে পারবেন। এছাড়া খামারবাড়ি ও বিজয় সরণি থেকেও যাত্রী নেবে বিআরটিসি বাস। এদিকে বিআরটিসির এই উদ্যোগে প্রথম ধাপে যুক্ত হতে যাওয়া আটটি দ্বিতল বাসই সংস্থাটির ডিপোতে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ওইদিন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম জানান, ৭৯টি বাস চলবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। তবে নানা জটিলতায় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকারের এ সংস্থাটি।